মোসলমানরা পবিত্র হজ পালন করবেন।
আল্লাহর নিকট হতে অশেষ রহমত প্রাপ্ত হবেন।
নিরাপদে দেশে স্বজনদের মাঝে ফিরে আসবেন ।
হজের পবিত্র সুফল যারা হজ করতে সক্ষম নন তাঁদের কাছে পৌঁছাবেন।
জানাবেন শুনাবেন এবং সাধারণ মোসলমানরা হাজী ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে আল্লাহর নিয়ামতের অংশীদার হবেন ।
হাজীদের নির্মল জীবনচরিতে মোসলমানদের জীবন হবে শান্তিময় ।সমাজ হবে শান্তিময় ।
এটিই আমাদের কাম্য এবং স্বাভাবিক ঘটনা ও আল্লাহর অশেষ রহমত বলে মনে করি ।
কিন্তু পবিত্র হজ্ব করতে গিয়ে যদি দুর্ঘটনায় হাজী মারা যান ।
তবে নিশ্চই সেটা আল্লাহর রহমত হতে পারে না।যদিও হায়াত মউত আল্লাহর কাছে।
কিন্তু ক্রেন দুর্ঘটনা ও মিনার দুর্ঘটনা সৌদি রাষ্ট্রের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের দায়িত্বে অবহেলার জন্যেই ঘটেছে ।
ভারতে মন্দিরে পদদলিত হয়ে মানুষ মারা যায় ।
এখন মারা গেল পবিত্র মক্কায় ।
এর জবাবে কি বলবেন সৌদি বাদশা ?
হাজীদের মৃত্যুতে কি তাঁর দায়িত্বে কোন অবহেলা নেই ?
সৌদিতে ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখা ১০৭
মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র স্থান মক্কার মসজিদুল হারামে ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৭ জন হাজী।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আড়াইশ’য়ের মত হাজী।
আহতদের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ার নাগরিক রয়েছেন।
ক্রেন ভেঙে পড়ার ঘটনায় অন্তত ৪০ জন বাংলাদেশী আহত হয়েছেন ।
দুর্ঘটনায় পাকিস্তানের ১৪, ভারতের নয় এবং মালয়েশিয়ার ছয় জন আহত হয়েছেন।
লাদেনের ক্রেন :
পত্রিকার খবরে জানা গিয়েছে ক্রেনটি ছিল লাদেনের বা লাদেন পরিবারের ।
এ খবর প্রচার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ কি এটা বুঝাতে চাইছেন যে, ক্রেন ভেংগে যাবার জন্য মৃত লাদেন দায়ী ।
অথবা লাদেন পরিবার দায়ী!?
সৌদি বাদশা কি আমেরিকা হতে কিনা যুদ্ধ বিমান দিয়ে লাদেনের কবরে বোমা বর্ষন করবেন ?
লাদেনের কবরে বোমা বর্ষনের কারণে খুশী হয়ে যাবেন মৃত হাজীদের পরিবার !?
কিন্তু লাদেনের কবরের ঠিকানা কোথায় ?তাঁর যে সলিল সমাধি করা হয়েছে।ঠিকানা অজানা!
ঠিকানা ভুল করে সৌদি বাদশার বোমারু বিমান মোসলমানদের হত্যা করবে নাতো?
তার নিশ্চয়তা কোথায় ?
মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত কমপক্ষে ৭১৭ হজযাত্রী
আল্লাহর দরবারে আর্তচিৎকারে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন হাজিরা এই বলে,
হাজির হে আল্লাহ হাজির, আপনার মহান দরবারে হাজির।
আপনার কোন শরিক নেই।
সব প্রশংসা, নিয়ামত এবং সব রাজত্ব আপনারই।
সত্যি এমনভাবে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে পবিত্র মক্কার মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত হলেন কমপক্ষে ৭১৭ হাজী।
সাদা কাপড়ে ঢাকা শুধু লাশ আর লাশ।
বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে এসব হাজীর লাশ।
চলাচলে অক্ষম হাজীরা মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন হুইলচেয়ারে। পাশেই পড়ে আছে পানির বোতল।
দু’টুকরো সাদা কাপড়ে নিথর পড়ে আছেন আল্লাহর মেহমানরা।
অবর্ণনীয় সে দৃশ্য।
হৃদয় বিদারক এসব দৃশ্য চোখে দেখেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠছেন অন্য হাজী ও উদ্ধারকর্মীরা।
মিনায় দুর্ঘটনার জন্য দায়ি সৌদি যুবরাজের গাড়িবহর!
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের পূত্র প্রিন্স সালমান আল সৌদের গাড়ি বহরের কারণেই
মিনায় পদদলিত হয়ে ৭১৯ জন হাজি নিহত হয়েছেন বলে একাধিক সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে।
লেবাননের আরবি ভাষার দৈনিক আল দিয়ার এক প্রতিবেদনে জানায়,
হজের তৃতীয় দিনে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটার পেছনে সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ সালমান আল সৌদ
বিশাল গাড়ি বহর প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
মিনার পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ উপত্যকায় সৌদি বাদশাহ যাচ্ছিলেন বিশাল হজ জমায়েতে যোগ দিতে।
তার সঙ্গে ছিল ২০০ সেনাবাহিনী ও ১৫০ পুলিশ সদস্য।
প্রতিবেদনে বলা হয় সৌদি যুবরাজের উপস্থিতি মানুষের চলাচলের মধ্যে বিঘ্ন ঘটায় এবং হঠাৎ করে দিক পরিবর্তন করায় সেটা থেকে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয় যা থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দৈনিকটি আরো জানায়, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুতই যুবরাজ ও তার বহর স্থান ত্যাগ করে এবং তার এই জায়গায় যাওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
দূর্ঘটনার জন্য সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ সালমান আল সৌদের গাড়ি বহরকে দায়ি করে প্রায় একই রকম সংবাদ প্রকাশ করেছে দুবাই থেকে প্রকাশিত পত্রিকা আল-জিদ্দাজ। এছাড়া ভারতে জি-নিউজের এক প্রতিবেদনেও একই দাবি করা হয়েছে।
অবশ্য সৌদি কর্তৃপক্ষ এই প্রতিবেদনকে অসত্য উল্লেখ করে দায়টা হজ করতে আসা মানুষদের উপরেই চাপিয়েছেন।
এ বিষয়ে সৌদি স্বাস্থমন্ত্রী খালেদ আল ফালিহ বলেন, হজযাত্রীরা যদি কর্তৃপক্ষের দেওয়া সময় মেনে চলতেন তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটতো না।
মোসলমানদের রক্ষায় ব্যর্থ সৌদি বাদশা :
ইরাক যুদ্ধে আমেরিকাকে সামরিক ঘাটি,বিমান ঘাটি করতে দিয়েছিলেন সৌদি বাদশা।শুধু তাই নয় ,আমেরিকা হতে কিনা যুদ্ধ বিমান দিয়ে ইরাকে আক্রমন করেছিলেন সৌদি বাদশা।হত্যা করেছিলেন মোসলমান ইরাকীদের।যা বাদশা এড়াতে পারতেন।
বিদ্রোহ দমনের জন্য বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করেছেন নিরীহ মোসলমান হুতিদের মহিলা শিশুদের।
সৌদী বাদশার মোসলমান মারার গোলাবারুদে মারা যায় মোসলমানরা।ইসরাইল থাকে নিরাপদ।
আমেরিকার সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন সৌদি বাদশা।ঘর বাড়ী সয়ায় সম্পদ হাড়িয়ে উদ্বাস্তু হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মিডিলইষ্ট এর মোসলমান।সৌদি আরব তাদের আশ্রয় দেননি।দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছেন অসহায় মোসলমানদের। তারা সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে আশ্রয় নেবার জন্য জীবনপন করে মারা যাচ্ছেন ।অনেকের হয়েছে সলিল সমাধি ।যারা যেতে পারছেনে ইউরোপ/জার্মানীতে তাদের অনেকেই বেঁচে থাকার আকুতিতে হতে হচ্ছেন খ্রিষ্টান।
অর্থাত সৌদি বাদশা মোসলমানদের স্বার্থের ব্যাপারে আন্তরিক নন।
যদি কোন মোসলমান যদি বলেন পোপ সৌদি বাদশার চেয়ে বড় মোসলমান !
তবে সেটা অন্যায় কি হবে ?
কিন্তু কেন এই দূরবস্থা মোসলমানদের?
গরীব ভাইয়ের প্রতি দায়িত্ব অবহেলাই এর কারণ নয় কি ?
তবুও বাদশারা থাকবেন দাপটের সাথে ।
কারণ অর্থ বিত্ত ক্ষমতার দাপটের কাছে গরীব মানুষ খুব অসহায়।
অসহায় গরীব মোসলমান ধনী মোসলমানদের স্বার্থপরতার কারণে।
জান মাল নিজেদের জন্য সঞ্চিত করবেন পাহাড় সম ।সামান্য খরচ করতে খুব কৃপণতা ।খরচ করতে কৃপণতা ইসলামের জন্য।মোসলমানদের জন্য।
কারণ এর চেয়ে মিসকিন বলা সহজ যে !
আর ধনীরা ভুলে গেছে যে ,ইসলাম মানে মোসলমান্ ।
মোসলমান ছাড়া ইসলাম হয় কি করে ?
বৈষম্যনীতিতে মোসলমানদের মূল্যায়নে ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি একথাটা কারারুদ্ধ হতে চলেছে কাগজের পাতায় ।
যদি বেঁচে থাকার তাগিদে জীবনকে হাতে নিয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনাকে তুচ্ছ করে খ্রিষ্টান দেশে পাড়ি দিতে হয় ।
যদি ইসলামকে ত্যাগ করে খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করতে হয় !
তাহলে ইসলাম শান্তির ধর্ম হবে কি করে ?
হয়তো এগুলো আমেরিকার পলিসি।
আর সে পলিসির পথ ধরে হাঁটছেন মুসলিম বিশ্ব!
এতে শান্তিকামীর পরিচয়ের বদলে সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত হচ্ছেন মোসলমান।
হাজীদের নিহত হওয়ার ঘটনা পূঞ্জি !
১৯৮৭ সালঃ ইরানপন্থীদের বিক্ষোভ,সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে নিহত হয় ৪০০জন হাজী।
১৯৯০সালঃ সুড়ঙ্গ পথে যাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে নিহত হয় ১৪২৬জন হাজী।
১৯৯৪সালঃ মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত হয় ২৭০জন হাজী।
১৯৯৭সালঃ মিনায় হাজীদের থাকার তাবুতে আগুন লেগে নিহত হয় ৩৪২জন হাজী,আহত হয় প্রায় ১৫শ হাজী।
১৯৯৮সালঃ মিনায় পদদলিত হয়ে ১৮০জন হাজী নিহত।
২০০১সালঃ মিনায় পদদলিত হয়ে ৩০জন হাজী নিহত।
২০০৪সালঃ নিহত হয় ২৪৪জন হাজী।
২০০৬ সালেও মিনায় ঘটে যায় হতাহতের ঘটনা।
সর্বশেষ ২০১৫সালঃ এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা(১০৭+ ৭১৭)=৮২৪জন।
আল্লাহর নিকট হতে অশেষ রহমত প্রাপ্ত হবেন।
নিরাপদে দেশে স্বজনদের মাঝে ফিরে আসবেন ।
হজের পবিত্র সুফল যারা হজ করতে সক্ষম নন তাঁদের কাছে পৌঁছাবেন।
জানাবেন শুনাবেন এবং সাধারণ মোসলমানরা হাজী ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে আল্লাহর নিয়ামতের অংশীদার হবেন ।
হাজীদের নির্মল জীবনচরিতে মোসলমানদের জীবন হবে শান্তিময় ।সমাজ হবে শান্তিময় ।
এটিই আমাদের কাম্য এবং স্বাভাবিক ঘটনা ও আল্লাহর অশেষ রহমত বলে মনে করি ।
কিন্তু পবিত্র হজ্ব করতে গিয়ে যদি দুর্ঘটনায় হাজী মারা যান ।
তবে নিশ্চই সেটা আল্লাহর রহমত হতে পারে না।যদিও হায়াত মউত আল্লাহর কাছে।
কিন্তু ক্রেন দুর্ঘটনা ও মিনার দুর্ঘটনা সৌদি রাষ্ট্রের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের দায়িত্বে অবহেলার জন্যেই ঘটেছে ।
ভারতে মন্দিরে পদদলিত হয়ে মানুষ মারা যায় ।
এখন মারা গেল পবিত্র মক্কায় ।
এর জবাবে কি বলবেন সৌদি বাদশা ?
হাজীদের মৃত্যুতে কি তাঁর দায়িত্বে কোন অবহেলা নেই ?
সৌদিতে ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখা ১০৭
মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র স্থান মক্কার মসজিদুল হারামে ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৭ জন হাজী।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আড়াইশ’য়ের মত হাজী।
আহতদের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ার নাগরিক রয়েছেন।
ক্রেন ভেঙে পড়ার ঘটনায় অন্তত ৪০ জন বাংলাদেশী আহত হয়েছেন ।
দুর্ঘটনায় পাকিস্তানের ১৪, ভারতের নয় এবং মালয়েশিয়ার ছয় জন আহত হয়েছেন।
লাদেনের ক্রেন :
পত্রিকার খবরে জানা গিয়েছে ক্রেনটি ছিল লাদেনের বা লাদেন পরিবারের ।
এ খবর প্রচার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ কি এটা বুঝাতে চাইছেন যে, ক্রেন ভেংগে যাবার জন্য মৃত লাদেন দায়ী ।
অথবা লাদেন পরিবার দায়ী!?
সৌদি বাদশা কি আমেরিকা হতে কিনা যুদ্ধ বিমান দিয়ে লাদেনের কবরে বোমা বর্ষন করবেন ?
লাদেনের কবরে বোমা বর্ষনের কারণে খুশী হয়ে যাবেন মৃত হাজীদের পরিবার !?
কিন্তু লাদেনের কবরের ঠিকানা কোথায় ?তাঁর যে সলিল সমাধি করা হয়েছে।ঠিকানা অজানা!
ঠিকানা ভুল করে সৌদি বাদশার বোমারু বিমান মোসলমানদের হত্যা করবে নাতো?
তার নিশ্চয়তা কোথায় ?
মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত কমপক্ষে ৭১৭ হজযাত্রী
আল্লাহর দরবারে আর্তচিৎকারে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন হাজিরা এই বলে,
হাজির হে আল্লাহ হাজির, আপনার মহান দরবারে হাজির।
আপনার কোন শরিক নেই।
সব প্রশংসা, নিয়ামত এবং সব রাজত্ব আপনারই।
সত্যি এমনভাবে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে পবিত্র মক্কার মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত হলেন কমপক্ষে ৭১৭ হাজী।
সাদা কাপড়ে ঢাকা শুধু লাশ আর লাশ।
বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে এসব হাজীর লাশ।
চলাচলে অক্ষম হাজীরা মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন হুইলচেয়ারে। পাশেই পড়ে আছে পানির বোতল।
দু’টুকরো সাদা কাপড়ে নিথর পড়ে আছেন আল্লাহর মেহমানরা।
অবর্ণনীয় সে দৃশ্য।
হৃদয় বিদারক এসব দৃশ্য চোখে দেখেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠছেন অন্য হাজী ও উদ্ধারকর্মীরা।
মিনায় দুর্ঘটনার জন্য দায়ি সৌদি যুবরাজের গাড়িবহর!
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের পূত্র প্রিন্স সালমান আল সৌদের গাড়ি বহরের কারণেই
মিনায় পদদলিত হয়ে ৭১৯ জন হাজি নিহত হয়েছেন বলে একাধিক সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে।
লেবাননের আরবি ভাষার দৈনিক আল দিয়ার এক প্রতিবেদনে জানায়,
হজের তৃতীয় দিনে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটার পেছনে সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ সালমান আল সৌদ
বিশাল গাড়ি বহর প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
মিনার পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ উপত্যকায় সৌদি বাদশাহ যাচ্ছিলেন বিশাল হজ জমায়েতে যোগ দিতে।
তার সঙ্গে ছিল ২০০ সেনাবাহিনী ও ১৫০ পুলিশ সদস্য।
প্রতিবেদনে বলা হয় সৌদি যুবরাজের উপস্থিতি মানুষের চলাচলের মধ্যে বিঘ্ন ঘটায় এবং হঠাৎ করে দিক পরিবর্তন করায় সেটা থেকে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয় যা থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দৈনিকটি আরো জানায়, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুতই যুবরাজ ও তার বহর স্থান ত্যাগ করে এবং তার এই জায়গায় যাওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
দূর্ঘটনার জন্য সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ সালমান আল সৌদের গাড়ি বহরকে দায়ি করে প্রায় একই রকম সংবাদ প্রকাশ করেছে দুবাই থেকে প্রকাশিত পত্রিকা আল-জিদ্দাজ। এছাড়া ভারতে জি-নিউজের এক প্রতিবেদনেও একই দাবি করা হয়েছে।
অবশ্য সৌদি কর্তৃপক্ষ এই প্রতিবেদনকে অসত্য উল্লেখ করে দায়টা হজ করতে আসা মানুষদের উপরেই চাপিয়েছেন।
এ বিষয়ে সৌদি স্বাস্থমন্ত্রী খালেদ আল ফালিহ বলেন, হজযাত্রীরা যদি কর্তৃপক্ষের দেওয়া সময় মেনে চলতেন তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটতো না।
মোসলমানদের রক্ষায় ব্যর্থ সৌদি বাদশা :
ইরাক যুদ্ধে আমেরিকাকে সামরিক ঘাটি,বিমান ঘাটি করতে দিয়েছিলেন সৌদি বাদশা।শুধু তাই নয় ,আমেরিকা হতে কিনা যুদ্ধ বিমান দিয়ে ইরাকে আক্রমন করেছিলেন সৌদি বাদশা।হত্যা করেছিলেন মোসলমান ইরাকীদের।যা বাদশা এড়াতে পারতেন।
বিদ্রোহ দমনের জন্য বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করেছেন নিরীহ মোসলমান হুতিদের মহিলা শিশুদের।
সৌদী বাদশার মোসলমান মারার গোলাবারুদে মারা যায় মোসলমানরা।ইসরাইল থাকে নিরাপদ।
আমেরিকার সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন সৌদি বাদশা।ঘর বাড়ী সয়ায় সম্পদ হাড়িয়ে উদ্বাস্তু হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মিডিলইষ্ট এর মোসলমান।সৌদি আরব তাদের আশ্রয় দেননি।দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছেন অসহায় মোসলমানদের। তারা সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে আশ্রয় নেবার জন্য জীবনপন করে মারা যাচ্ছেন ।অনেকের হয়েছে সলিল সমাধি ।যারা যেতে পারছেনে ইউরোপ/জার্মানীতে তাদের অনেকেই বেঁচে থাকার আকুতিতে হতে হচ্ছেন খ্রিষ্টান।
অর্থাত সৌদি বাদশা মোসলমানদের স্বার্থের ব্যাপারে আন্তরিক নন।
যদি কোন মোসলমান যদি বলেন পোপ সৌদি বাদশার চেয়ে বড় মোসলমান !
তবে সেটা অন্যায় কি হবে ?
কিন্তু কেন এই দূরবস্থা মোসলমানদের?
গরীব ভাইয়ের প্রতি দায়িত্ব অবহেলাই এর কারণ নয় কি ?
তবুও বাদশারা থাকবেন দাপটের সাথে ।
কারণ অর্থ বিত্ত ক্ষমতার দাপটের কাছে গরীব মানুষ খুব অসহায়।
অসহায় গরীব মোসলমান ধনী মোসলমানদের স্বার্থপরতার কারণে।
জান মাল নিজেদের জন্য সঞ্চিত করবেন পাহাড় সম ।সামান্য খরচ করতে খুব কৃপণতা ।খরচ করতে কৃপণতা ইসলামের জন্য।মোসলমানদের জন্য।
কারণ এর চেয়ে মিসকিন বলা সহজ যে !
আর ধনীরা ভুলে গেছে যে ,ইসলাম মানে মোসলমান্ ।
মোসলমান ছাড়া ইসলাম হয় কি করে ?
বৈষম্যনীতিতে মোসলমানদের মূল্যায়নে ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি একথাটা কারারুদ্ধ হতে চলেছে কাগজের পাতায় ।
যদি বেঁচে থাকার তাগিদে জীবনকে হাতে নিয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনাকে তুচ্ছ করে খ্রিষ্টান দেশে পাড়ি দিতে হয় ।
যদি ইসলামকে ত্যাগ করে খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করতে হয় !
তাহলে ইসলাম শান্তির ধর্ম হবে কি করে ?
হয়তো এগুলো আমেরিকার পলিসি।
আর সে পলিসির পথ ধরে হাঁটছেন মুসলিম বিশ্ব!
এতে শান্তিকামীর পরিচয়ের বদলে সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত হচ্ছেন মোসলমান।
হাজীদের নিহত হওয়ার ঘটনা পূঞ্জি !
১৯৮৭ সালঃ ইরানপন্থীদের বিক্ষোভ,সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে নিহত হয় ৪০০জন হাজী।
১৯৯০সালঃ সুড়ঙ্গ পথে যাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে নিহত হয় ১৪২৬জন হাজী।
১৯৯৪সালঃ মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত হয় ২৭০জন হাজী।
১৯৯৭সালঃ মিনায় হাজীদের থাকার তাবুতে আগুন লেগে নিহত হয় ৩৪২জন হাজী,আহত হয় প্রায় ১৫শ হাজী।
১৯৯৮সালঃ মিনায় পদদলিত হয়ে ১৮০জন হাজী নিহত।
২০০১সালঃ মিনায় পদদলিত হয়ে ৩০জন হাজী নিহত।
২০০৪সালঃ নিহত হয় ২৪৪জন হাজী।
২০০৬ সালেও মিনায় ঘটে যায় হতাহতের ঘটনা।
সর্বশেষ ২০১৫সালঃ এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা(১০৭+ ৭১৭)=৮২৪জন।